বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫

সম্পূর্ণ খবর

লাইফস্টাইল | পারিবারিক হিংসার শিকার? কীভাবে বাঁচার পথের দিশা পাবেন? হদিশ দিলেন আইনজীবী

নিজস্ব সংবাদদাতা | | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ০২ মে ২০২৫ ২৩ : ৫১Soma Majumder


আজকাল ওয়েবডেস্কঃ অভিযোগের সংখ্যা ২৫৭৪৩। তার মধ্যে ২৪ শতাংশই গার্হস্থ্য হিংসার। ২০২৪ সালের হিসেবের খাতায় এমনই তথ্য রয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের দফতরে। গত ডিসেম্বরের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি অভিযোগ (৫৪ শতাংশ) এসেছে উত্তরপ্রদেশ থেকে। 

পুলিশ প্রশাসন থেকে আইনজীবী, সমাজকর্মী থেকে মনোবিদ, সকলেই জানেন পরিস্থিতি আসলে আরও অনেকটাই গুরুতর। খাতায়কলমে জমা পড়া অভিযোগের চেয়ে বাস্তবে এমন পরিস্থিতির শিকার মানুষের সংখ্যাটা অনেক অনেক বেশি। আর তার মধ্যে মহিলা কিংবা পুরুষ, দু’পক্ষই আছেন। ঘাবড়ে যাচ্ছেন? যাওয়ারই কথা। কিন্তু কেন এই হাল, সেটাও তো জানতে হবে। জানতে হবে, কী করে এই পরিস্থিতিতে বাঁচার পথ খুলবে। তা নিয়েই আইনজীবী রম্যানী ঘোষালের মুখোমুখি আজকাল ঘরোয়া। বিয়ে-ডিভোর্স-পারিবারিক হিংসা সংক্রান্ত আইনি সাহায্যের পাশাপাশি রম্যানীর সংগঠন ‘একাকী নয়’-এ এই ঘরনের পরিস্থিতিতে মানসিক সহায়তাও দেওয়া হয়। 


ঘরের ভিতর আঁধার

বিয়ে করেছেন। অনেকটা স্বপ্ন আর আলো-আলো একটা জীবনের প্রত্যাশায় এসেছেন নতুন একটা পরিবারে। কিন্তু সেখানেই যদি অপেক্ষায় থাকে অনেকটা অন্ধকার। তথাকথিত কাছের মানুষদের কাছ থেকেই জোটে অত্যাচার? সে শারীরিক, মানসিক বা ইমোশনাল, যে পথেই সে অভিজ্ঞতা হোক না কেন, নির্যাতন তো নির্যাতনই।

কিন্তু কেন এমন হয়

রম্যানীর কথায়, “পরিবার শব্দটার মধ্যেই লুকিয়ে আছে জীবনের সব আনন্দ। একটা আশ্রয়, বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে কঠিন লড়াইয়ে সাহস জোগানোর ঠিকানা। আদিম যুগে যখন মানুষ বিজ্ঞানের সন্ধান পায়নি, তখন থেকেই নিজেদের রক্ষার তাগিদে মানুষ দলবদ্ধ হয়েছে, সমাজের সৃষ্টি হয়েছে, আবার তা ভেঙে এসেছে যৌথ পরিবার। ক্রমশ নিজেদের স্বার্থে ও অর্থনৈতিক, মানসিক, সামাজিক নানা কারণে তা-ও ভাঙতে ভাঙতে সেগুলোও প্রায় বিলুপ্ত। শুরু হয়েছে আমি-তুমি-একটা দুটো বাচ্চা নিয়ে ভালভাবে থাকার জন্য বাঁচার লড়াই। আর এর ফলে স্বার্থপর হতে হতে কোথায় যেন তলিয়ে যাচ্ছে সামাজিক মূল্যবোধগুলো। ভাল থাকতে গিয়ে কতটা ভাল থাকছি, তার সংজ্ঞা্টাই আমরা জানি না। এর থেকেই তৈরি হচ্ছে হিংসা, নিষ্ঠুরতা। বাবা মা সন্তানকে সুখী রাখতে পারছে না— এই অজুহাতে সন্তান তাদের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করছে। আবার স্বামী স্ত্রীর বিরুদ্ধে, স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে, এমনকি ছোট ছেলে-মেয়েরাও এই পারিবারিক হিংসার কবলে পড়ে যাচ্ছে। বাবা মা সময় না দিতে পারায় বাচ্চাকে ভুলিয়ে রাখার জন্য হাতে তুলে দিচ্ছে নানা দামি উপহার। বাচ্চা ক্রমশ নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছে। তৈরি হচ্ছে ডিপ্রেশন নামক গালভরা নাম। এই একাকীত্বের শিকার কেবল ছোটরাই নয়। পরিসংখ্যান বলছে, সব বয়সের মানুষের মধ্যেই ক্রমশ তা বেড়ে চলেছে। অনেকেই তাদের মানসিক স্থিতি বজায় রাখতে পারছে না। আবার পাছে তাকে কেউ পাগল ভাবে, তাই মনোবিদের কাছে যেতেও ভয় পাচ্ছে। আর পারিবারিক হিংসায় দেখা যাচ্ছে উকিলের পরামর্শ নেওয়া তো দূরের কথা, সম্মানহানির আশঙ্কায় পুলিশের কাছে নালিশ জানাতেও অনেকে অনিচ্ছুক।” 


মনের গভীরে বিপদ

বিপক্ষ যখন পরিবার, তখন কী করবেন, কী ভাবে করবেন, সেটা বুঝে পাননা অনেকেই। লোকে কী বলবে-র ভয়ও তাড়া করে অহরহ। মনের কথা খুলে বলার লোক কিংবা বলে ফেলার সাহস, দুটোর অভাবেই ভোগেন অনেকে। কিন্তু দিনের পরদিন মুখ বুজে সবটা সয়ে যাওয়ার মাসুল গোনে মন। তার গভীরে বাসা বাঁধে অবসাদ, মানসিক চাপ। সমস্যা যখন মাত্রা ছাড়ায়, ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। কিংবা সইতে সইতে মনের সমস্যাও চরমে পৌঁছয়। রম্যানী যেমন বলছেন, “মানুষের জীবনে খাওয়াদাওয়া, জামাকাপড় আর মাথার ছাদের বাসনা ছাড়াও মনের গুরুত্বও কিন্তু কিছু কম নয়। মন চায় মনের মতো সঙ্গী। কিন্তু চাইলেই কি সব পাওয়া যায়। তাই আমরা অন্য অনেক মরীচিকার পেছনে ছুটি। টাকা সব সুখ দেবে, এই আশায় কাজ, কাজ আর কাজ করে চলি। সারা শরীরের যত্ন নিই। কিন্তু মনের আবার কিসের যত্ন? এই তো সিনেমা দেখছি, পার্টিতে নাচছি, গল্পের বই পড়ছি,  আঁকছি...  আর কী চাই এই মনটার? তবু মন ক্লান্ত হয়, কথারা জমে থাকে বুকে। ভাঙছি, তবু আমি কি পাগল যে মনের চিকিৎসা করাব? মনের কথা আগলহীন ভাবে খুলে দেব? অথচ এর থেকেই জন্ম হয় হিংসার। বিশেষত গার্হস্থ্য হিংসায় যারা অত্যাচার করে বা যারা অত্যাচারিত হয়, দু’তরফই এর শিকার। মনের রোগ এখন মহামারী। আর প্রিয়জনকে হত্যা বা আত্মহত্যা এখন জলভাত। তা থেকে বাঁচতে শুরুতেই দরকার মন খুলে কথা বলার আর আইন কীভাবে পাশে থাকতে পারে তা বোঝার।”

আলোর পথ

সমস্যা যখন আছে, সমাধানও নিশ্চয়ই আছে। অন্ধকার সুড়ঙ্গের ওপারটায় যেমন আলো থাকে। গার্হস্থ্য হিংসা থেকে বাঁচতে বা পারিবারিক জটিলতার জেরে মনের সমস্যা এড়াতে তবে কী করবেন? “এই সমস্ত ক্ষেত্রে দরকার মানসিক আশ্রয়। প্রয়োজন বিশ্বস্ত বন্ধুর। বিশেষ করে প্রিয়জনদের কাছে যারা অত্যাচারিত হয় বা তাদের অত্যাচার করে, তাদের এই ভরসাটার খুব দরকার। এমন মানুষদের মনের যন্ত্রণা খুলে বলার সুযোগ করে দিতে আছে মনোবিদ বা নানা ধরনের সংস্থা বা সংগঠন। আইনি পরামর্শ দিতে আছেন আইনজীবীরা। দরকার শুধু সাহস করে এগিয়ে আসা, মনের কথা খুলে বলা এবং নিজের উপর ভরসা রাখা


Domestic Violence Violence

নানান খবর

নানান খবর

স্কুলের শৌচাগার থেকে শিশুদেরও হতে পারে মূত্রনালির সংক্রমণ! সন্তানের কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?

এক টুকরো কর্পূর বদলে দিতে পারে জীবন! এই নিয়মে ব্যবহার করলে সংসারে থাকবে সুখ, অভাব হবে না টাকাপয়সার

লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত দীপিকা, এই সাধারণ সমস্যাগুলোও মারণ রোগের লক্ষণ হতে পারে! উপেক্ষা করলেই তিলে তিলে শেষ হবে শরীর

রোজ রাতে দেরি করে ঘুমাতে যাচ্ছেন? শরীরে কোন কোন রোগ বাসা বাঁধছে জানেন?

প্রেমিকের পুরুষাঙ্গ কেটে পেঁয়াজ রসুন দিয়ে রান্না করলেন সঙ্গী! খেলেন নৈশভোজ! কারণ শুনে ভয়ে কাঁপবেন আপনিও

অকালে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ? নামীদামি প্রসাধনী বাদ দিন, এই ঘরোয়া ক্রিমের জাদুতেই ফিরবে জেল্লা

ফ্যাটি লিভারের মোক্ষম দাওয়াই! লিভার থেকে ছেঁকে বার করবে টক্সিন, পাতে শুধু রাখুন এই কটি খাবার

আড়ালে পরনিন্দা-পরচর্চাই ভাল রাখবে শরীর-স্বাস্থ্য! গবেষণায় উঠে এল চমকে দেওয়া তথ্য

শনি মন্দিরে কেন কালীর মূর্তি রাখা হয়? শনিদেবের সঙ্গে কালীপুজোর নিয়ম কেন? শনি জয়ন্তীতে জানুন আসল কারণ

এত বড় বিশ্বাসঘাতকতা! স্বামীর মৃত্যুশোক ভুললেন দুই মিনিটে, ল্যাপটপে কী খুঁজে পেলেন মহিলা

তরতরিয়ে কমবে ওজন, উধাও হবে সব জটিল রোগ! শুধু ৬-৬-৬ নিয়মে হাঁটলেই ম্যাজিকের মতো মিলবে ফল

বাড়ছে ইউরিক অ্যাসিড? নিয়মিত এই সব খাবার খেলেই ঝাঁঝরা হয়ে যাবে শরীর! বদলে কী খাবেন জানুন

যৌন মিলনে অনীহা? শরীরে এই ভিটামিনের অভাবেই সঙ্গমের ইচ্ছা তলানিতে নয় তো! সম্পর্কে দূরত্ব বাড়ার আগে জানুন

শনি জয়ন্তীতে বড় মঙ্গলের বিরল সংযোগ! শনিদেবকে প্রসন্ন রাখতে করুন এই সব কাজ, কখনও পিছু নেবে না অভাব-অনটন

বৃষ্টির বিকেলে চায়ের সঙ্গে ‘টা’ হিসাবে বানিয়ে ফেলুন ভুট্টার কাটলেট, শিখে নিন রেসিপি

সোশ্যাল মিডিয়া